আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ
মানিকগঞ্জে প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এতে হুমকির মুখে পরেছে আশপাশের ফসলি জমি। এনিয়ে ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্ধ হয়নি অবৈধ ড্রেজার বানিজ্য।
জানা গেছে, কাটিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো আবুল কাশেম মাষ্টার দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ড্রেজার বানিজ্য চালিয়ে আসছে। কাশেম মাস্টার ও তার সহযোগিরা পরস্পর কৃষি জমি ও ডোবা থেকে ড্রেজার দিয়ে উপর্যপরি মাটি উত্তোলন করে আটিগ্রাম-কাটিগ্রাম সহ আশ-পাশে বিক্রি করছে। ক্ষতিগ্রস্থ ভুমি মালিকরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে নালিশ করেও ফলোদয় হয়নি। বাধ্য হয়ে গত ৬ জুন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কাটিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: আবুল কাশেম একই ডোবা থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করে আসছেন। ফলে আশপাশের কৃষি জমি ইতোমধ্যে ধ্বসে পড়েছে। ভুক্তভোগি জসিম উদ্দীন বলেন, কশেম মাস্টার ও তার ভাগিনা তোফাজ্জল হোসেন গায়ের জোরে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করে মাটির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছের লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে নালিশ করেও কোন লাভ হয়না। নিরুপায় হয়ে গত ৬ জুন জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করে গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে ডিসি স্যারকে বিস্তারিত বলেছি। এখনও ড্রেজার ব্যবসা বন্ধ হয়নি।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ঐ ডোবা খেকে ১৩ বিঘা কৃষি জমি নষ্ট কওে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে লাখ লাখ ফুট মাটি উত্তোলন করায় আশ-পাশের কৃষি জমি ইতোমধ্যে বিলিন হয়ে গেছে। কাবুল মিয়ার ৩ শতাংশ, খোকা মিয়ার আড়াই শতাংশ, জসিম মিয়ার ৪ শতাংশ জমি ধ্বসে গেছে।
এলাকাবাসীরা জানায়, কাশেম মাস্টার দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা করে অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে গেছে।
এ বিষয়ে কাশেম মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।