ইভানার মৃত্যু: স্বামী-চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা
রাজধানীর স্কলাসটিকা স্কুলের ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সেলর ইভানা লায়লা চৌধুরীর (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এ মামলায় ইভানার স্বামী আব্দুল্লাহ হাসান মাহমুদ রুম্মান ও চিকিৎসক (নেফ্রলজিস্ট) অধ্যাপক মুজিবুল হক মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ইভানার মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার তার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী শাহবাগ থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই চিকিৎসকের (নেফ্রলোজিস্টের) প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইভানাকে এক বছর ধরে ঘুমের ওষুধ সেবন করানো হচ্ছিল। ইভানা পরে তার বন্ধুদের বলেছেন, প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার জন্য তার স্বামী রুম্মান তাকে (ইভানাকে) ঘুমিয়ে রাখতে ঘুমের ওষুধ সেবন করাচ্ছেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার শাহবাগের পাশে পরীবাগের দুটি নয়তলা ভবনের মাঝ থেকে ৩২ বছর বয়সী ইভানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে, ইভানা ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের ধারণা।
স্কলাস্টিকা স্কুলের এই কর্মকর্তার মৃত্যুর পর তার স্বজনরা জানতে পারেন যে আইনজীবী স্বামীর সঙ্গে দুই সন্তান নিয়ে অসুখী এক দাম্পত্যে ছিলেন এই নারী।
ইভানার স্বামী রুম্মান একজন আইনজীবী। ২০১০ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে ছোটটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক) শিশু।
সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যার পর ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী শাহবাগ থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দেন। এতে তিনি ইভানার আইনজীবী স্বামী রুম্মানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
তখন রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেছিলেন, এই অভিযোগ থানা গ্রহণ করলেও তা আগে অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।