কাবুল বিমানবন্দরের কাছে রকেট হামলা
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি বিকট বিস্ফোরণ শোনা গেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকরা এমন দাবি করেছেন। এর আগে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
সাবেক আফগান সরকারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, এটি ছিল একটি রকেট হামলা। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য বলছে, একটি বাড়িতে রকেটটি আঘাত হেনেছে।-খবর এনডিটিভির
এদিকে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার শঙ্কার মধ্যেই শেষ ধাপে চলছে বিদেশিদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া। রোববারের (২৯ আগস্ট) মধ্যেই সেখানে আবারো ভয়াবহ হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এরই মধ্যে সব মার্কিন নাগরিককে ওই এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে। তালেবানের পুনরুত্থানে নিজেদের দেশ ছাড়তে মরিয়া বহু আফগান নাগরিকও। এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত আইএস-কে গোষ্ঠীর দুই শীর্ষ নেতাকে হত্যার দাবি করেছে পেন্টাগন।
জঙ্গিগোষ্ঠি আইএস-কের ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির পরও মৃত্যু ঝুঁকি মাথায় নিয়েই দেশ ছাড়ার চেষ্টায় কাবুল বিমাবন্দরে প্রতিদিনই ভিড় করছেন সাধারণ আফগানরা। উদ্দেশ্যে কোনো নিরাপদ দেশে একটু মাথা গোজার ঠাঁই।
আরও পড়ুন: স্বজনদের কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত আফগানরা
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-কের ভয়াবহ হামলায় রক্তের দাগ না শুকাতেই আবারো সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বললেন, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আবারো কাবুল বিমানবন্দর এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা।
এমন পরিস্থিতিতে প্রাণহানি এড়াতে জনসাধারণকে বিমানবন্দর এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ওয়াশিংটন। শেষ পর্যায়ে এনেছে উদ্ধার কার্যক্রম। এরইমধ্যে কাবুল বিমানবন্দর ছাড়তে শুরু করেছেন মার্কিন সেনারা।
এর আগে, নতুন করে হামলার আশঙ্কায় নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগেই নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয় যুক্তরাজ্য। বন্ধ করে দেয় উদ্ধার কাজ। শনিবার কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে যায় ব্রিটিশ সেনারা। ন্যাটোর আরেক দেশ ইতালিও ইতি টেনেছে উদ্ধারকাজের।
যদিও সাধারণ আফগানদের সরিয়ে নিতে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্স। বাগদাদ সফরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা ও ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে তালেবানের সাথে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেন, তালেবানের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে। কাতারের সাথেও কথা হচ্ছে। মানবিক সহায়তা ও যারা মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের রক্ষাকেই আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। এছাড়া, আফগান নারীদের যেন নির্যাতন না করা হয় সে বিষয়টিও আলোচনায বারবার উঠে এসেছে।
তালেবানের কাবুল নিয়ন্ত্রণের পর এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৭ হাজারে বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদেশগুলো। গত একদিনেই সরিয়ে নেয়া হয়েছে ছয় হাজারের বেশি আফগানকে।