গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, আ’লীগ নেতাকে ছেড়ে দিল পুলিশ
ফেনীর ফুলগাজীর পশ্চিম বসন্তপুরে দরবারপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলরামের নেতৃত্বে কুপিয়ে এক গৃহবধূসহ ৩ জনকে রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটে।
রোববার রাতে স্থানীয়রা তিন আসামিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পুলিশ এক আসামি রেখে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুইজনকে ছেড়ে দিয়েছে।
ফুলগাজী থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে আটক আসামি শিমুলকে আদালতে হাজির করলে বিচারক শিমুলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ফুলগাজীর পশ্চিম বসন্তপুর গ্রামের দরবারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলরামের নেতৃত্বে গৃহবধূসহ ৩ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার বিকালে ফুলগাজী থানায় ৪ জনের নামে মামলা দায়ের হয়। গুরুতর আহত গৃহবধূ ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতদের পরিবার ও স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বলরাম মেম্বারের নেতৃত্বে শিমুল ও দিলীপ তার দেহরক্ষী জন্টু ঘোষকে নিয়ে ফেনী পাইলট স্কুলের সামনে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় যুবকরা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের আটক করেন। পুলিশ শিমুলকে রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।
আহত রীনা রানী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে আসামি দিলীপ শীল, শিমুল শীল তাদের গাড়ি চলাচলের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য বলরামকে সাথে নিয়ে অনিল শর্মার ঘরের সামনে দিয়ে ইট বিছিয়ে তার গাড়ি চলাচলের রাস্তা তৈরি করতে চেষ্টা চালান।
এ সময় অনিল শর্মা বিরোধিতা করলে একপর্যায়ে হট্টগোল শুরু হয়। অনিল শর্মার ছেলে ফেনী পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ঘুম থেকে জেগে ওঠে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে শিমুল শীল, বলরাম গোপ ও দিলীপ শিল পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে তাদের পিটিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে রিনা রানী এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে বলরামের নির্দেশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে অনিল ও সঞ্জয়কে ছেড়ে দিলেও রিনাকে ভর্তি করে ফেনী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রিনা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয় দরবারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন মজুমদার তার এলাকায় নারীর ওপর হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ফুলগাজী থানার ওসি মঈন উদ্দিন জানান, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।