জেকেজির দুই হাজার রিপোর্টে গরমিল, দ্রুতই অভিযোগপত্র
করোনা পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। দু-এক দিনের মধ্যেই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন। তিনি জানিয়েছেন, করোনার পরীক্ষায় জেকেজি হেলথকেয়ার প্রায় দুই হাজার রিপোর্ট গরমিল করেছে। নামমাত্র নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে না পাঠিয়েই তারা মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছে।
গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে ডেকে জেকেজির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেকেজির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততাসহ কোনো বিষয়েই সদুত্তর না পাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের তদন্তে দেখা যায়, জেকেজি ১৩ হাজার ৫৮৫টি নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এর মধ্যে ১১ হাজার ৬৬০টি জেকেজি হেলথকেয়ারের মাধ্যমে করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ৯২৫টি নমুনা তারা ল্যাবে পাঠায়নি, এমনকি সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহও করেনি।’
গ্রাহকের নমুনা সংগ্রহের ফর্মে দেওয়া ই-মেইল ঠিকানায় তারা একটি ফেক ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার করে সেগুলোর রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। এমনও হয়েছে যে তারা নমুনা সংগ্রহ করেছে, কিন্তু টেস্টের জন্য ল্যাবে না পাঠিয়ে নিজেরাই মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছে।