থামছেই না অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের দৌরাত্ম্য, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
হবিগঞ্জে বেশ জমজমাট বালুর ব্যবসা। তবে নেই নিয়মনীতির বালাই। প্রতিবছর ব্যবসা হয় অন্তত দুইশো কোটি টাকার। তবে অবৈধভাবে বালু তোলায়, বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। আবার নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু তোলা ও পরিবহনের কারণে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ ও উন্নয়ন অবকাঠামো।
হবিগঞ্জের খোয়াই নদ ও বিভিন্ন ছড়ার অন্তত দুই শতাধিক স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে নেয় প্রভাবশালীরা। এতে ছড়া পরিণত হয়েছে বিশাল পুকুরে। ভেঙে পড়ছে ফসলি জমিসহ টিলা। হুমকিতে সেতুসহ বেশ কিছু স্থাপনা। ট্রাক্টরে বালু পরিবহনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পাড় ও রাস্তাঘাট।
যদিও বালু মহাল ইজারাদারদের একজন ইছালিয়া বালু মহালের পরিচালক সুজাত ভূঁইয়া দাবি করেন, নিয়ম থাকলেও বেলচা, কোদাল দিয়ে কখনই বালু তোলা সম্ভব না।
এদিকে প্রশাসনের অভিযান, অর্থ ও কারাদণ্ডেও থামছে না বালু উত্তোলনকারীদের দৌরাত্ম্য। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলছেন, সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম খাত বালু উত্তোলন কার্যক্রম। তাই অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধে তৎপর প্রশাসন।
চলতি বছর খোয়াই নদে ৬টি বালুমহাল ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।