নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ গৃহবধূর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ আখড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে তিন জায়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আকাশ কালো করে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। দেওভোগ আখড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের বাড়িতে তিন জা বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে কাজ করছিলেন। এ সময় ঝড়ে একটি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে তাদের বাড়ির গেটে পড়লেও তারা তা খেয়াল করেননি। বাড়িতে প্রবেশের চিকন গলিতে থাকা কলাপসিবল গেট পরিষ্কার করতে গিয়ে বড় জা বিমলী রানী ঘোষ (৫৬) বিদ্যুতায়িত হয়ে আটকে যান। পাশে দুই জা বাসন্তী রানী ঘোষ (৩৫) এবং মণি রানী ঘোষ (৩২) ঘরের থালা-বাসন পরিষ্কার করছিলেন। তারা এগিয়ে এসে বিমলী রানী ঘোষকে ছাড়াতে গেলে তারা দুজনও বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মিতু দাস জানান, মুহূর্তে তিনটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। নিহতরা হচ্ছেন- রনজিৎ ঘোষের স্ত্রী বিমলী রানী ঘোষ, রনজিত ঘোষের ভাই দীপক ঘোষের স্ত্রী মণি রানী ঘোষ ও অপর ভাই নিখিল ঘোষের স্ত্রী বাসন্তী রানী ঘোষ। বিমলী রানী ঘোষ দুই মেয়ে, মরি রানী ঘোষ দুই ছেলে এক মেয়ে ও বাসন্তী রানী ঘোষ এক ছেলে এক মেয়ে রেখে গেছেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির।
তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক। তিনি বলেন, এই ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইদুজ্জামান জানান, নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনজনের লাশ পোস্ট মার্টেম ছাড়াই সৎকার করতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।