বুড়িগঙ্গায় ট্রলার ডুবির পঞ্চম দিনে মা-মেয়েসহ চারজনের লাশ ভেসে উঠলো
নুরুল আজিজ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ :নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনার পঞ্চম দিনে মা-মেয়েসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রোববার (৯ জানুয়ারি) উপজেলার বক্তাবলী এলাকায় মরদেহগুলো পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলকে খবর দেয়।
উদ্ধার হওয়া চারজনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পরিবার। তারা হলেন- মা জেসমিন আক্তার (৩২), তার মেয়ে তাসফিয়া (২), মো. সাব্বির আহমেদ (১৮) ও জোস্না বেগম (৩৩)।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ, গত বুধবার সকালে ফতুল্লার চটলার মাঠ এলাকায় লঞ্চের ধাক্কায় ৪০/৫০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে ৯ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ঘাতক লঞ্চ এম ভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানি সহ ৩জনের বিরুদ্ধে দায়ীত্ব অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। পরবর্তীতে তাদেরকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, ৫ জানুয়ারী বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকাগামী এম.ভি ফারহান-৬ নামে লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০/৫০ জন যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৯জন ট্রলারের যাত্রী নিখোঁজ হয়।
লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লার (৩০) দায়ীত্ব অবহেলার কারনেই এই দূঘর্টনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে।