বৈদ্যুতিক ফাঁদে হত্যার পর হাতির মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন
কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ খুনিয়াপালংয়ে বৈদ্যুতিক ফাঁদে ফেলে একটি বন্য মা-হাতিকে মেরে ফেলা হয়েছে।
পরে হাতির শরীর থেকে মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন করে তা পুঁতে ফেলার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় হাতিটিকে বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে হাতির মৃতদেহ লুকাতে পা, শূড় কেটে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়। এসব টুকরো অংশ উদ্ধার করে বন বিভাগ। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বন বিভাগের এই কর্মকর্তা।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা জানান, ধারণা করা হচ্ছে ভোররাতে রামুর খুনিয়াপালংয়ের ধোয়াপালং এলাকায় ধানক্ষেতে চলে আসে মা হাতিটি। সেখানে আগে থেকে স্থানীয়দের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে হাতিটি মারা যায়। এরপর কিছু দুর্বৃত্ত শরীর থেকে হাতিটির মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে তা পুঁতে ফেলার চেষ্টা করে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান ইউএনও।
এদিকে খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রামু রিগান চাকমা, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদসহ বন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগ রামুর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ময়নাতদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করেন।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ জমির মালিক নজির আহমেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।