মাস না পেরোতেই উঠে গেছে কার্পেটিং
বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি খেয়াঘাট থেকে কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য একটি সড়ক মেরামতের পর একমাস যেতে না যেতেই অধিকাংশ জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে। সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটি নির্মাণ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত প্রকল্পের আওতায় বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি খেয়াঘাট থেকে কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর পর্যন্ত ২টি প্যাকেজে মোট ১২ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ করা হয়। পটুয়াখালীর আজাদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি মেরামত করে। ২০ দিন আগে সড়কটি মেরামত কাজ শেষ হয়। এরই মধ্যে সড়কটির লাভলু হাওলাদার যাত্রী ছাউনির পশ্চিম পার্শ্বে একাধিক স্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সড়কটির নির্মাণ কাজ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি খবির সিকদার বলেন, নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কার্পেটিং উঠে যাওয়ার খবর পাইনি।
সড়কটির তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির সার্ভেয়ার জহিরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি।
এলজিইডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, সড়কটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।