মা-ছেলেকে অপহরণ: এএসপিসহ সিআইডির ৩ সদস্যের জামিন ফের নামঞ্জুর
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা ও ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে দ্বিতীয়বার আবেদন করেও জামিন পেলেন না এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগসহ সিআইডির ৩ সদস্য।
এ মামলায় গ্রেফতার রংপুর সিআইডির এসএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগসহ ৩ সদস্য এবং মাইক্রোবাসচালক হাবিব মিয়ার জামিন আবেদন মঙ্গলবার নামঞ্জুর করেন আদালত।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর কোট ইন্সপেক্টর মো. মনিরুজ্জামান। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান-উল হক ফারুক এবং মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়ার জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালত পুলিশের এসআই সবুজ আলী জামিনের বিরোধিতা করেন। আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু চারজনেরই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট একই আদালতে রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসান-উল হক ফারুকের জামিন আবেদন করা হয়। সেদিনও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, মা ও ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ও জীবননাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে গত ২৫ আগস্ট চিরিরবন্দর থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ১০ আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের কথা উল্লেখ করা হয়। মামলাটি পরে দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি মোস্তাফিজার রহমান।
এ মামলায় গ্রেফতার রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসান-উল হক ফারুক, মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়া ও প্রধান আসামি ফুশিউল আলম পলাশ দিনাজপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।