মীম গ্রীন কনসার্ন লিমিট্রেডের কৃষি জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ রোজিনা বিকস এর বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হিজলাইনে মীম গ্রীন কনসান লিমিট্রেড এর ভোগদখলীয় কৃষি জমি অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রোজিনা বিকস ফিল্ডের স্বত্বাধীকারী আবু রায়হান ও পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার ভুমি মানিকগঞ্জ সদর ববাবর অভিযোগ দিয়েছেন রেজাউল কুদ্দুস ইমন । অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন তাহার পিতা মীম গ্রীন কনসান লিঃ এর চেয়্যারম্যান মোঃ আব্দুল মোমেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হিজলাইন মোজায় মীম গ্রীন কনসান এর নামে ৩২৭ শতক জমি ক্রয় করেন । মোঃ আব্দুল মোমেন মৃত্য বরন করলে তিনি ও তার বোন নিজ নিজ নামে নামজারি করিয়া ভোগ দখলরত অবস্থায় চলতি বছরের ৮ জানুয়ারী ১২ ঘটিকায় রোজিনা বিকস ফিল্ড এর মালিক আবু রায়হান ও পুটাইল ইউনিয়নের চেয়্যাম্যান আব্দুল জলিল সহ ২৫-৩০ জন অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তি আমার ভোগ দখলীয় ভুমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করিয়া উক্ত ভুমি থেকে অবৈধভাবে ৪৯ শতক ভুমি বেদখলে হুমকি দিয়ে চলে যায় । আমি চলে আসলে আমার অজ্ঞাতে রাতের অন্ধকারে কৃষি জমির মাটি কেটে রোজিনা বিকস ফিল্ডে নিয়ে যায় যাহা রাতের আধারে অব্যাহত রয়েছে। তিণি আরো উল্লেখ করেন যে রোজিনা বিকসের মালিক আবু রায়হান ও পুটাইল ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান আব্দুল জলিল দাবী করেন যে আমার সৎ মায়ের নিকট থেকে ৪৯ শতক ভুমি ক্রয় করেছেন।যদি আমার সৎমায়ের নিটক থেকে ক্রয় করে ও থাকেন তা হইলে উক্ত ভুমি ক্রয়ের পুবে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফামস কতৃক নিবন্ধনকৃত কোম্পানীর জমি ক্রয়ের পুবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয় এ অনুমোদন ও তাহারা নেননি এ ক্ষেত্রে যদি তিনি ক্রয় করে থাকেন তাহা আইন সম্মত নহে। এ ছাড়া উক্ত ভুমি সম্পকিত আমাদের মধ্যে বন্টন নামা দলিল সম্পাদিত হয়নি । এবং কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ কোনটিই করেন নি অভিযুক্তরা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার ভুমি বরাবর অভিযোগ করার পরেও কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি , রোজিনা বিকস এখনো রাতের আধারে মাটি কেটে নেওয়া অব্যহত রেখেছে।
এ বিষয়ে পুটাইল ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান আব্দুল জলিল জানান, আমি ঐই জমি বায়না করেছিলাম পরে রোজিনা বিকস এর মালিক রায়হান সাহেবের কাছে বিক্রি করেছি,কোম্পানীর নামের জায়গা ক্রয়-বিক্রয় করতে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফামস কতৃক নিবন্ধনকৃত কোম্পানী থেকে অনুমোদন নিতে হয় আপনারা অনুমোদন নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান এমন কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি,কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান আমি মাটির ব্যবসা করিনা আমাকে বলেছিলো আমি বলেছি যে আপনারা প্রশাসন থেকে অনুমোদন নিয়ে কাটতে পারলে কাটেন এর সাথে আমি নেই।
এ বিষয়ে রোজিনা বিকস এর ব্যবস্থাপক সেলিম জানান যে জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে না রোজিনা বিকসের নয় স্বীকার করে বলেন আমাদের কোম্পানী যে জায়গা ক্রয় করেছেন সেই জায়গা বাদে দুই কোম্পানী আলোচনা করে একপাশে আমরা মাটি কাটছি । কাগজপত্রের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না সব আমাদের মহরী জানেন ।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান বিষয়টি অবগত আছি আমি নিজে ২ বার অভিযান চালিয়েছি এবং এসিল্যান্ড ২ বার অভিযান চালিয়েছেন রাস্তায় ড্রামট্রাক আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছি। গভীর রাতে ওরা মাটি কাটার কারনে আটক করা সম্ভব হচ্ছে না ,কৃষি জমির মাটি কাটার বিষয়ে আমারা চাপের মুখে আছি।