ময়মনসিংহ থেকে ডেকে এনে ২ ব্যবসায়ীকে পাহাড়ে জিম্মি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মাছের প্রজেক্ট দেখানোর নাম করে ময়মনসিংহ থেকে ডেকে এনে পাহাড়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারের পাশাপাশি দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার চারজন হলেন- পুরানগড়ের মধ্যম মনেয়াবাদ এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. হেলাল উদ্দীন, বাজালিয়ার বড়দুয়ারা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে আরিফুল ইসলাম শাকিব, একই এলাকার ছালে আহাম্মদের ছেলে মো. রাশেদুল ইসলাম এবং পুরানগড় ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে মো. শহিদুল আলম।
উদ্ধার দুই ব্যবসায়ী হলেন- ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার জুহুর আলীর ছেলে মোরশেদ আলী (৪২) এবং তার বন্ধু একই এলাকার ছমির উদ্দিনের ছেলে রিপন (৪২)।
জানা গেছে, মোরশেদ আলী ও তার বন্ধু রিপন দুজনই মাছের পোনার ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে মাছের পোনা কেনার জন্য প্রজেক্ট দেখানোর কথা বলে তাদের ময়মনসিংহ থেকে সাতকানিয়া ডেকে নিয়ে আসে। পরে পুরানগড়ের দক্ষিণ কদমতলী কামারগ্যা ঘোনা দেলোয়ারের ম্যালেরিয়া গাছের বাগানে নিয়ে যায়।
সেখানে তাদের জিম্মি করে হত্যার হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের কথামতো আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৪ হাজার টাকা মুক্তিপণও পাঠায়।
এরই মধ্যে মোরশেদ আলী কৌশলে পালিয়ে এসে থানায় জানালে তাৎক্ষণিক থানার এসআই শেখ মো. সাইফুল আলম, এসআই মোল্লা মো. জাহাঙ্গীর কবির, এসআই সুব্রত কুমার দাশ, এএসআই মো. সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, এএসআই মো. নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম তাদের উদ্ধারে অভিযানে নামে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে চালানো একটানা অভিযানে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে অপহৃত রিপন নামে আরেক ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রেফতার আসামিরা মাছ, গাছ, কলা, পাথর, ফলের বাগান বিক্রি করার কথা বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এনে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত। মাছের পোনা বিক্রির কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আমরা ৮-১০ জনকে শনাক্ত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।