‘লকডাউনের কারণে এ বছর অ্যাডিস মশা বেড়েছে’
দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপের ফলে বন্ধ ছিল নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ। একই সঙ্গে নগরবাসী অনেকেই বাসা খালি রেখে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। এতে করে নির্মাণাধীন বাড়ি ও ফাঁকা বাসায় জমে থাকা পানি অপসারণ ও তদারকি সম্ভব হয়নি, ফলে তাতে জন্মেছে অ্যাডিসের লার্ভা। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ ও অ্যাডিস মশা বৃদ্ধির পেছনে এমন বিষয়কে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সারা দেশে মশাবাহিত রোগপ্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
মশক নিধনে জনসাধারণের অংশগ্রহণ বাড়াতে মশার লার্ভা ধ্বংসের কীটনাশক দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম বলেন, একটা কোম্পানি মাধ্যমে আগে কীটনাশক আমদানি করা হতো। এখন মশক নিধনের কীটনাশক আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এখন কিছু বেসরকারি কোম্পানি সেই কীটনাশক আনছে। আমরা সেগুলো দোকানে দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নয়, আমরা ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট করতে যাচ্ছি। এটার জন্য কাজ চলছে। সারা দেশের জন্য এটা করব।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে ভরসার জায়গা হলো গ্রামে অ্যাডিস মশা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যেখানে নিচে মাটি আছে, সেখানে মশা ডিম পাড়লেও তা ফুটবে না। পরিবেশের ক্ষতি যেন না হয়, সেটা মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
ছাদ বাগান করলে ফুলের টবের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল দেওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেরোসিন দিনে টবের পানি প্রতিদিন সরাতে হবে না। এতে করে টবে পানিতে মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে না।
তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষিত অনেক মানুষের বাসায় প্রচুর লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা দুঃখজনক।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক, একটি মৃত্যুকেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ২০২০ সালের সাফল্যের পর আশা করেছিলাম এবারও ডেঙ্গু কম হবে, কিন্তু নানা কারণে সেটা হয়নি।