শিবালয়ে প্রতিক বরাদ্দের দিনেই স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ৬ষ্ঠ ধাপে ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এ উপলক্ষে প্রার্থীদের সাথে আসা হাজার হাজার লোক স্বাস্থ্য বিধি মানার তোয়াক্কা না করে উপজেলা চত্বরে আসতে থাকে। করোনা ওমিক্রন সংক্রমন রোধে ইতিমধ্যে বিধি নিষেধ আরোপ করেছে সরকার।এসময় সবত্রই স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত লক্ষ করা গেছে।সামাজিক দুরত্ব দুরের কথা কারো মুখে মাস্ক না থাকায় ওমিক্রন সংক্রমনের ঝুঁকিতে পরে সবাই। এ রকম লোকসমাগম নিয়ে সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন থেকে আসা চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত নারী প্রার্থীদের সাথে প্রতিক বরাদ্দ নিতে আসা হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। প্রার্থীরা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে মটোরসাইকেলে শত শত কর্মী – সর্মথক নিয়ে শোডাউন দিয়ে উপজেলায় আসতে থাকে।উপজেলা চত্বরে লোকসমাগমের কারনে তিল ফেলার ঠাঁই ছিল না। একে অপরের গা ঘেঁষে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে যার যার প্রার্থীর প্রতিকের অপেক্ষা করতে থাকে। কারো মুখে মাস্ক না থাকায় ওমিক্রন সংক্রমনের ঝুঁকিতে পরে সবাই। স্বাস্থ্য বিধি মানা নিয়ে উদাসীন ছিলো সবাই।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহাবুব রহমান বলেন, প্রতিক বরাদ্দের দিন প্রার্থীর সাথে চার-পাঁচ জনের বেশি আসার কথা না। বাহিরে প্রার্থীর সাথে কেউ আসলে আমরা ভীতর থেকে কি ভাবে দেখবো বলেন। বাহিরের জনসমাগমের বিষয়টি নির্বাহীদের দেখার কথা। তবে ওমিক্রন সংক্রমনের জন্য প্রার্থী ও সর্মথকদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য সবাইকে সর্তক করেছি। প্রার্থীর সাথে এভাবে লোকসমাগম কোন ভাবেই কাম্য না। এ বিষয়ে আমি সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে নিজে থেকে আরো সচেতন হতে হব।
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: পারভেজ বলেন, ওমিক্রনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের যেহেতু অতিত অভিজ্ঞতা আছে সেহেতু নতুন করে কাউকে বলার কিছু নাই। এই সময়ে এরকম লোকসমাগম আমাদের সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।