সরকারি জমিতে অবৈধ ভবন দেখার কেউ নেই
ঢাকার উপকণ্ঠের ধামরাইয়ে অবৈধ দখলে সরকারি জমি। এসব জমিতে নির্মিতও হচ্ছে বহুতল ভবন। স্থানীয় ভূমি অফিসের নজরদারি না থাকায় দখলকারী সহজেই এসব সরকারি জমি দখল করতে পারছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ধামরাইয়ের কুশুরা, সুয়াপুর, ধামরাই সদর ও যাদবপুর ইউনিয়নে সরকারি জমি দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। তারা এসব জমিতে এখন বহুতল ভবনও নির্মাণ করছেন। যাদবপুর ইউনিয়নের বেরশ মৌজার এস এস ১২৯ ও আর এস ১৩৬ দাগে ৩০ শতাংশ সরকারি জমি। প্রকৃত তথ্য গোপন করে কেউ কেউ লিজ নিয়ে সেখানে বহতল ভবন নির্মাণ করছেন। যদিও ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন জমি ক্রয় করে ভবন নির্মাণ করছেন। ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছালেহ আহমদ জানিয়েছেন, সরকারি জমিতে বহতল ভবন নির্মাণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। অবৈধ ভবন নির্মাণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এভাবে শুধু যাদবপুরে নয়। ধামরাইয়ে প্রায় ইউনিয়নেই সরকারি জমি চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের দখলে। উদ্ধারের তৎপরতা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। সচেতন ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, ধামরাইয়ের প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দালালদের আনাগোনা বেশি। তারা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় নাড়াচাড়া করছেন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি। যার কারণে সহজে সরকারি সম্পত্তি চিহ্নিত হয়ে দালালের মাধ্যমেই চলে যাচ্ছে দখলবাজদের হাতে। বিশেষ করে কুশুরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসেই এসব কাজ বেশি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অন্তরা হালদার সাংবাদিকদের জানান, সরকারি অথবা পরিত্যক্ত জমিতে সরকারের অনুমতি ছাড়া বহতল ভবন নির্মাণ করা যাবে না। যদি কেউ করে থাকেন তাহলে বহতল ভবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।