সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দৌলতদিয়া প্রান্তে স্বস্তির ঈদযাত্রা
শঙ্কা ছিলো ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা নিয়ে দুর্ভোগে পড়ার। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে ঘরে ফেরা যাত্রীরা।
আজ সোমবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট যাত্রীশূণ্য। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক প্রায় ফাঁকা। ফেরিপারের অপেক্ষায় নেই কোনও যানবাহন। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে নেই যাত্রীদের কোলাহল। পাটুরিয়াতে যাত্রীর চাপ না থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে অপেক্ষা করছে বেশ কয়েকটি ফেরি। দৌলতদিয়া প্রান্তের ৫নং ফেরিঘাটে দুটি রো রো ফেরিসহ আপেক্ষায় রয়েছে কৃষ্ণচূড়া নামের একটি ইউটিলিটি ফেরি।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মো. হানিফ মিয়া বলেন, এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির হয়েছে। মহাসড়কে সেভাবে ভোগান্তি ছিল না। ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপনা ছিল সুষ্ঠু। প্রশাসনের নজরদারি ছিল ভালো। ফেরি থেকে নেমে পর্যাপ্ত বাস ছিল। সেই সাথে মাইক্রোবাস, মাহেন্দ্র ছিল পর্যাপ্ত।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের চাঁদনী আরিফা মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, প্রায় দুই যুগ দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ব্যবসার সুবাদে ঈদযাত্রা দেখে আসছি। এবারের মতো ভালো ঈদযাত্রা আমরা দেখিনি। ব্যবস্থাপনা ভালো ছিল এবার। এবারে ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনিনি। ভাড়া বেশি নিয়েছে যাত্রীদের কাছ থেকে এটা ঠিক। কিন্তু আসার সময়তো যানবাহনগুলোকে খালি আসতে হয়। সব দিক বিবেচনায় করলে বলা যায়, সরকার এবারের ঈদযাত্রায় সফল।
গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এবারের ঈদযাত্রা সুষ্ঠু করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠিন ও কঠোর নির্দেশনা ছিল। বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট ছিলো দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। যে কারণে এবারের ঈদযাত্রা সুষ্ঠু ছিলো।
রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর তারক চন্দ্র পাল বলেন, আমারা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি এবারের ঈদযাত্রা যেন ভোগান্তিমুক্ত হয়। আমাদের এসপি স্যার বলেছিলেন- পদ্মা সেতু চালু হলে এই ফেরিঘাট বিবর্ণ থাকবে। মানুষ যেন মনে রাখে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত ছিলো।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, সবার আপ্রাণ চেষ্টায় ঈদযাত্রা ভালো ছিল। আমাদের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, জেলা পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তরা, ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ আপ্রাণ চেষ্টা করেছে সুষ্ঠ ঈদযাত্রা উপহার দিতে। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা রোজা রেখে কঠিন পরিশ্রম করেছেন। সবার আপ্রাণ চেষ্টার স্বস্তির ঈদযাত্রা উপহার দিতে পেরেছি।
রাজবাড়ী -২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমাদের দীর্ঘ সময়কালে দেশের রাস্তাঘাট ভালো হয়েছে। অনেক রাস্তা প্রসস্তকরণ করা হয়েছে। ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ চলাচল করেছে। সবার আপ্রাণ চেষ্টায় ঈদযাত্রায় সরকারের ভাবমূর্তী ভালো হয়েছে। সুষ্ঠ ঈদযাত্রার কারণে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, বিআইডব্লিউটিসি সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের এই সদস্য।