সৈয়দপুরে পুরাতন ইট দিয়ে চলছে ড্রেন নির্মাণ কাজ
সৈয়দপুরে সরকারি বরাদ্দে পুরাতন ইট দিয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজ করে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, এলজিএসপি-৩ এর আওতায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর চেংমারীপাড়ায় প্রায় ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি ড্রেন নির্মান করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার জুন নিজেই এই কাজ করছেন। এতে ওই স্থানের পূর্বের ড্রেন, রাস্তার সোলিং ও সাইড থেকে পাওয়া পুরাতন ইটই পূন:রায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
সেখানে সিডিউল অনুযায়ী পুরাতন ইটের মধ্যে যেগুলো ব্যবহারযোগ্য সেগুলো শুধু ড্রেনের সোলিংয়ে বিছিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান সোলিংসহ ড্রেনের দুইপাশের গাঁথুনিও ওই পুরাতন ও ভাঙ্গা নষ্ট ইট দিয়েই করেছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসি তীব্র প্রতিবাদ জানান। এতে ড্রেন নির্মাণ কাজ দুই দিন থাকে ।
তবে এলাকাবাসির অনুপস্থিথির সুযোগে ওই নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করা হয়। এতে এলাকাবাসি চড়ম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজের ক্ষেত্রে পুরাতন ইটই ব্যবহার করা হচ্ছে। এসময় কোন নতুন ইটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এ সময় এলাকাবাসী বলেন, যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তাতে বেশিদিন টিকবে না। অথচ সরকার নির্মাণ ক্ষেত্রে টেকসই কাজের বরাদ্ধ দিয়েছেন। এতে সরকারি বরাদ্ধ অর্ধেকটাই পকেটস্থ করছেন। এছাড়া উত্তর দিকে আগের ড্রেনের সাথে সংযোগ না দেয়ায় পানি নিষ্কাশনে সমস্যা স্বৃষ্টি হবে।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী আতাউর রহমান জানান, কাজটা মূলতঃ এলজিএসপি-৩ এর অধীনে হওয়ায় তা ইউপি চেয়ারম্যানের তত্বাবধানের বিষয়। আমরা শুধু প্রকল্পের ইস্টিমেট (পরিকল্পনা) করে দেই। একদিন প্রকল্পস্থলে গিয়ে মিস্ত্রিদের দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। এরপর সব চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। তিনি নিজেই কাজটা করছেন। পুরাতন ইট ব্যবহার করে থাকলে তা চেয়ারম্যানের ব্যাপার।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার জুন বলেন, পুরাতন ইট কি নদীতে ফেলে দিব? ওই ইট গুলোর সুষম ব্যবহারে কাজ করা হচ্ছে। বড় বড় কাজে দূর্নীতি হচ্ছে ওইগুলো দেখেন।