৪ কোটির সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে!
মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন মাস আগে নির্মাণ শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। ফলে মই তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে মাদারীপুরের কালকিনির মিয়ারহাট এলাকার খালের ওপর ৫১ মিটার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। চলতি বছরের জুনে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতু নির্মাণের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও দু’পাড়ে হয়নি অ্যাপ্রোচ সড়ক। ফলে বাধ্য হয়েই কাঠ আর বাঁশ দিয়ে তৈরি মই ব্যবহার করে যাতায়াত করছে মানুষ। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দাবি, দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে বার বার আকুতি জানালেও বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। জনস্বার্থে দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে সেতু চালুর দারি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু প্রকল্পের আওতায় এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এটি পূর্ণাঙ্গ চালু করা গেলে শিকারমঙ্গল ও চরদৌলত খান ইউনিয়নের জনগণ ব্যাপক উপকৃত হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করা হলেও দুর্ভোগ কমেনি। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
কালকিনির চরদৌলত খান ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন শরীফ জানান, একাধিকবার কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা একটি কথা বার বার বলে যে শিগগিরই অ্যাপ্রোচ সড়ক হয়ে যাবে।
মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এ ব্যাপারে দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের প্রতিনিধি খোকন ব্যাপারী বলেন, টাকা কিংবা মালামালের কোনো সমস্যা নেই। শুধু সেতুরপাড়ে জায়গা নিয়ে একটু ঝামেলা থাকায় দেরি হচ্ছে। সেই ঝামেলাও সমাধান হয়েছে। খুব দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এলজিইডি মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান জানান, শিগগিরই অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। এরইমধ্যে সেতুর দু’পাড়ে ব্যক্তিগত স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে বলা হয়েছে। আশা করা যায় এক মাসের মধ্যে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু করবে।